অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি আর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকে টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ।
লাখো মুসুল্লির কণ্ঠে ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখর টঙ্গীর তুরাগ তীর ও তার আশপাশের এলাকা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা; দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয়। আত্মশুদ্ধি, বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত, রহমত লাভ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় মহান প্রভুর কাছে আকুতি জানান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ভোর থেকে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গাজীপুর এবং রাজধানী ঢাকা ও আশপাশ এলাকার লাখ লাখ মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা স্থলে পৌঁছান। যানবাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই যান ইজতেমা ময়দানে।
সকাল হতেই তুরাগ তীর ছাপিয়ে জনস্রোত এসে মিশে যায় আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে।
মোনাজাতের আগে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে হেদায়েতি বয়ান। গত তিনদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমদের বিভিন্ন ভাষায় বয়ান। চলে জিকির-আসকার ও ইবাদত-বন্দেগি।
এদিকে, যাতায়াত সুবিধার জন্য ১৩টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও মোনাজাত শেষে যানবাহন সংকটে পড়েন মুসুল্লিরা।
চারদিন বিরতির দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। অংশ নেবেন দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
Leave a Reply